,

চাল চুরি মামলার তদন্ত শেষ হয়নি ৯ মাসেও

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: ভৈরব খাদ্যগুদামে দেড় কোটি টাকা মূল্যের ৮১ টন চাল ও পৌনে দুই লাখ খালি নতুন বস্তা চুরির ঘটনায় ৯ মাসেও মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। গত ২৪ মার্চ এ চুরির ঘটনা ধরা পড়ে

গুদামে চালের মজুত কম রয়েছে- এমন খবর গোপনে  পেয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সারোয়ার মাহমুদ গত ২৩ মার্চ ভৈরব খাদ্যগুদামের ২ ও ৩ নাম্বার গুদামটি সিলগালা করে দেন। পরদিন গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসান গোপনে গুদামের সিল ভেঙে গুদামে চাল ঢুকানোর সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা ঘটনাস্থলে এসে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এ সময় গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল হাসানগুদামের ঠিকাদার প্রতিনিধি ফারদুল্লা ও ১২ জন শ্রমিককে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেন তিনি

তারপর কিশোরগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভির হোসেন বাদী হয়ে ভৈরব থানায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এরপর খাদ্য অধিদফতর কর্তৃপক্ষ ও  জেলা প্রশাসক অফিস থেকে পৃথকভাবে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়

এ ঘটনায় গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক কামরুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তখন তদন্তে প্রমাণ হয় গুদামে ৮১ টন চাল ও ১ লাখ ৭৬ হাজার নতুন বস্তা মজুত কম আছে। ঘটনাটি তদন্ত করতে ময়মনসিংহের দুদককে দায়িত্ব দেয়া হয়। দীর্ঘ ৯ মাস যাবত দুদক ঘটনাটি তদন্ত করলেও এখন পর্যন্ত তদন্ত শেষ হয়নি বলে জানা গেছে

ময়মনসিংহ দুদকের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ এ প্রতিনিধিকে মোবাইলে জানান, ঘটনার বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সঠিক তদন্ত করতে গিয়ে বিলম্ব হচ্ছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র ঘটনাটি তদন্ত করছে। কাগজপত্র এখনও আমার হাতে আসেনি শীঘ্রই মামলাটির তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হবে বলে জানান তিনি

এই বিভাগের আরও খবর